অধিবেশন ডাকার আপনি কে!’ মমতাকে তোপ, নবান্নের পর ছাত্র সমাজকে বিধানসভা অভিযান ডাকার ‘পরামর্শ’ শুভেন্দুর


প্রসঙ্গত, একদিন আগেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সমাজ। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল হাওড়া-সহ কলকাতার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। দিনভর পুলিশ জনতার খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজপথ। ঝরে রক্ত। মাথা ফাটে একাধিক পুলিশ কর্মীরও।

 ‘অধিবেশন ডাকার আপনি কে!’ মমতাকে তোপ, নবান্নের পর ছাত্র সমাজকে বিধানসভা অভিযান ডাকার ‘পরামর্শ’ শুভেন্দুর
কী বলছেন শুভেন্দু?

 ২ তারিখ বিশেষ অধিবেশন বসছে বিধানসভায়। ৩ তারিখ হতে পারে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর বিল পাশ। এদিন তাতে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তা নিয়ে যখন চাপানউতোর চলছে সেই আবহে ফের একবার হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ দাবি, “এই অধিবেশন করতে গেলে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল বেআইনি কাজের অনুমোদন দেবেন না। জোর করে বিধানসভা করতে পারেন না।” এরপরই ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে নতুন ‘পরামর্শও’ দিয়ে ফেলেন তিনি। মমতার বিরুদ্ধে আরও তোপ দেগে স্পষ্ট বলেন, “সোমবার অধিবেশন ডাকার আপনি কে! আপনি হরিদাস? ছাত্র সমাজকে বলব ওই দিন বিধানসভার অধিবেশন করুন। আমরা ভিতরে বিধায়করা বুঝে নেব। আর রাস্তায় ছাত্র সমাজের লোকজন আপনারা বুঝে নেবেন।”  

প্রসঙ্গত, একদিন আগেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সমাজ। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল হাওড়া-সহ কলকাতার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। দিনভর পুলিশ জনতার খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজপথ। ঝরে রক্ত। মাথা ফাটে একাধিক পুলিশ কর্মীরও। এমনকী পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে একেবারে নবান্নের কাছেও পৌঁছে যেতে দেখা যায় কিছু আন্দোলনকারীদের। দুপুর থেকে শুরু হয় আন্দোলনের ঝাঁঝ বোঝা যায় একেবারে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরইমধ্যে শুভেন্দুর ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে নতুন পরামর্শ নিয়ে স্বভাবতই চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। 

শুধু এখানেই থামেননি শুভেন্দু। একটানা তোপ দেগে গিয়েছেন মমতার বিরুদ্ধে। চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “যে ভাষায় আজ ধমকেছেন এটা সরকার নাকি তালিবান, নাৎসি, জন কিম। আজ আমি সকলকে বলেছি কোনো রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া একদিনে কালীঘাট নবান্ন ও লালবাজার অভিযান করুন।” একইসঙ্গে কালীঘাট এবং আলিপুরের চারপাশে ১৬৩ ধারা জারি নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। 

Comments