হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে এসেছে’, বুদ্ধবাবুকেই বলেছিলেন রেজ্জাক, আজ কী বলছেন?
বয়স হয়েছে। চোখমুখ এখন মলিন, মনে হয় বহু কষ্টে চোখ মেলছেন। বিছানায় শুয়েই থাকেন। এই রেজ্জাক মোল্লা একসময় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভার সদস্য। তবে তাঁর সঙ্গে বিস্তর মতবিরোধও ছিল তৎকালীন বাম নেতা রেজ্জাক মোল্লার।
'হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে এসেছে', বুদ্ধবাবুকেই বলেছিলেন রেজ্জাক, আজ কী বলছেন?
এক সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সতীর্থ ছিলেন তিনি। গোটা রাজ্য তাঁকে চিনত ‘চাষার ব্য়াটা’ বলে। তবে এই চাষার ব্যাটার কাছেই বুদ্ধবাবুকে শুনতে হয়েছিল, ‘হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে এসেছে’। আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চলে যাওয়ার খবর পেয়ে মন ভারাক্রান্ত অশীতিপর সেই রেজ্জাক মোল্লার।
বয়স হয়েছে। চোখমুখ এখন মলিন, মনে হয় বহু কষ্টে চোখ মেলছেন। বিছানায় শুয়েই থাকেন। এই রেজ্জাক মোল্লা একসময় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভার সদস্য। তবে তাঁর সঙ্গে বিস্তর মতবিরোধও ছিল তৎকালীন বাম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার।
সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন যখন তীব্র, বামেদের সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে। সেই সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে রেজ্জাক মোল্লা বলেছিলেন, ‘হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে এসেছে।’ তবে মতবিরোধ হলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে চোখের কোণে চিকচিক করছে জল।
অনেকেই বলেন, বয়স বাড়লে মানুষ বড় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এদিন শয্যাশায়ী রেজ্জাক মোল্লার গলাতেও সেই আবেগ। রেজ্জাক মোল্লার কথা আজকাল জড়িয়ে যায়। জড়ানো গলাতেই বলতে থাকেন, ‘এতদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। এখন লোকটা চলে গেল। আমার থেকে এক বছরের ছোট ছিল। মতপার্থক্য হতো। তবে স্মৃতিও অনেক। ১০ বছর তো মন্ত্রী ছিলাম। অনেক কিছুই ঘটেছে। সেসব স্মৃতি মনে আসছে। সৎ লোক, অনেস্ট লোক।’

Comments
Post a Comment